চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ১৯ মামলায় আসামি শাহজামালকে (৫৬) ভাসমান পান দোকানদার সেজে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে চকবাজার থানার চন্দনপুরা সাফরান ভিলার দ্বিতীয় তলার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ২২৮নং শেখ মার্কেটের মেসার্স শাহজামাল ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী।
জানা গেছে, শাহজামালকে গ্রেফতারের জন্য কোতোয়ালি থানার এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে খুঁজতে থাকেন। তারা কখনো পান দোকানদার, কখনো চা দোকানদার, কখনো মার্কেটিং কোম্পানির সেলসম্যান পরিচয়ে খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা ও আন্দরকিল্লা এলাকায় খুঁজতে থাকেন।
এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, আসামি শাহ জামাল তার বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আসামির বাসার সামনে ভাসমান পান দোকানদার সেজে অবস্থান করেন। পরে তার বাসায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযান পরিচালনা করে বাসার ভেতরে থাকা একটি সানসেট বক্সের ভেতর থেকে জামালকে গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, শাহজামাল খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার ওপরে আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। শাহজামালকে ২০২০ সালে ১৬টি সিআর গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বের হয়ে এসে তিনি পুনরায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরও বলেন, আসামি একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি ও চকবাজার থানায় মোট ১৯টি গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।